সিলেট প্রতিনিধি: টানা বৃষ্টি ও ভারতের মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে এবং জেলার চার উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে জনজীবনে চরম ভোগান্তি দেখা দিয়েছে। সিলেটের সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি থাকায় বড় বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, সম্ভাব্য বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ৫৮২টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সিলেট সিটি করপোরেশন জলাবদ্ধতা নিরসনে কন্ট্রোল রুম চালু করেছে।

৩১ মে শনিবার দুপুর পর্যন্ত নগরীর জিন্দাবাজার, চৌহাট্টা, আম্বরখানা, মেজরটিলা, শাহপরাণ, রিকাবিবাজার, বাগবাড়ী, কালিঘাটসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও কলেজ ভবনের নিচতলা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি রয়েছে, তবে এখনো তা অতিক্রম করেনি। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে ১৩২ মিমি এবং শনিবার সকাল থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত ১৬৪ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট ও কোম্পানীগঞ্জের কিছু নিচু এলাকা ইতোমধ্যে পানিতে তলিয়ে গেছে। সড়ক-মহাসড়কে পানি উঠায় যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। জেলা প্রশাসক মো. শের মোহাম্মদ মাহবুব মুরাদ জানিয়েছেন, এখনো কোনো নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি। তবে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *