দালান সুপ্রাচীন। মেঘ নাচে তার গায়।
বৃদ্ধ ঘাসেরা বেঁচে আছে কার আশায়!
দেয়ালের বুক ফেঁড়ে হুংকার দেয় নপুংসক বট।
সুড়কিবাঁধাই গর্তে শৃঙ্গার সেরে নেয় দুধরাজ ও শঙ্খিনী।
পাতালে জমা রাখা অজ্ঞাতধনের পাহারা দেয় কালপুরুষ।
সময়ের পা ছুঁতেই ফণা তুলে অতীতপ্রবর।
দরজার শ্যাওলাগুলো না না করে ছল করছে অযাচিতবার।
আমাকে ফিরাচ্ছেনা কোনো শরীরী হাত,সবাই কিলবিলে হাসিতে কেড়ে নিচ্ছে আয়ুষ্মান ভব।
ভূমির দৌড়ে ভূমি, দেখানেই কোনো জনতার।
আমি এক ছায়া। দ্যাখো মানব সাজার ধুম।
ওরা বলে না না, হারিয়েছ তেত্রিশ হাজার বছরের মাঝে। এখানে সুখ পাবে। চিন্তাহীন সময় পাবে। প্রাচীনের ঘ্রাণ পাবে।
মিনতি পাবে।
নিস্কলুষ ভালোবাসা পাবে।
আর কী চাই!
থেকে যাও না তবুও আবার।
আমি চোখ মেলে হয়ে গেলাম তাহার….
আর প্রাচীন হয়ে গেলো আমার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *