সৎ, যোগ্য ও নিষ্ঠাবান একজন ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তি চক্রবর্ত্তী

মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার একজন সৎ, যোগ্য ও নিষ্ঠাবান এবং সফল মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তি চক্রবর্ত্তী। অনেক বাঁধা ও প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্বেও একজন যোগ্য জনপ্রতিনিধি হিসেবে ইতিমধ্যে উপজেলার সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন তিনি। বিগত নির্বাচনে রাজনগর উপজেলার জনগন সর্ব্বাধিক ভোটের ব্যাবধানে উনাকে বিজয়ী করেছিলেন। গত পাঁচ বছর তিনি তাঁর পরিশ্রম, সাহস, ইচ্ছাশক্তি, একাগ্রতা আর প্রতিভার সমন্বয়ে চা শ্রমিকসহ এই অঞ্চলের সাধারণ মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করে গেছেনে।

এলাকার গরীব দুঃখী মানুষের পাশে থেকে তিনি সব সময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। সর্বোপরি গরীব মেহনতী মানুষের প্রকৃত জনদরদী হিসেবে তিনি এলাকায় ব্যাপক পরিচিত ও জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন। রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবায় বিশেষ অবদান, সামাজিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন প্রকল্পের বাস্তবায়নে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে এলাকার উন্নয়নের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। চা শ্রমিকসহ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে ব্যাপকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
মুক্তি চক্রবর্তী ব্যক্তি জীবনে তিনি অত্যন্ত সৎ, সময়নিষ্ঠ, সদা হাস্যোজ্জ্বল ও সাদা মনের মানুষ। তাঁর মাঝে কোনো অহংকার নেই। নিরহংকারী এই মানুষটি দলমত নির্বিশেষে আজ সকলের কাছে প্রিয়। সর্বোপরি কাজ করছেন সাধারণ মানুষের কল্যাণের জন্য। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন সবসময়। যেখানেই দুর্নীতি হয়েছে সেখানেই তিনি প্রতিবাদ করেছেন।
সময়ের সাহসী এই নারী নেত্রী মুক্তি চক্রবর্ত্তী মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, স্কুল, মাদ্রাসা, মন্দির, মসজিদ সংস্কার করে গরীব দু:খী মানুষের মাঝে বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা, প্রতিবন্ধীভাতা সঠিকভাবে বিতরণে এবং বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প সঠিকভাবে বাস্তবায়নে সাধ্যমত তদারকী করে গেছেন।

করোনা পরিস্থিতিতে যখন মানুষ ঘর থেকে বের হননি ঠিক তখনও তিনি নিজের কথা না ভেবে তাঁর প্রিয় উপজেলাবাসীর জন্য দিন রাত নিরলস ভাবে পরিশ্রম করে গেছেন।

এছাড়া ভয়াবহ বন্যার সময় তিনি হতদরিদ্র মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন প্রতিনিয়ত। তিনি বিভিন্ন সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন- বন্যা, ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি এবং আগুনে পুড়ে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন সব সময়। স্থানীয় প্রশাসনের সার্বিক তত্বাবধানে প্রতিটি উন্নয়নমূলক কাজ অতি দক্ষতার সাথে সফলভাবে করেছেন যা এখনও চলমান আছে।

উপজেলাবাসীর একজন প্রিয় মানুষ হিসেবে এবারের নির্বাচনে জনপ্রিয়তার র্শীষে রয়েছেন তিনি। উপজেলাবাসী মনে করেন একজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের যেসমস্থ গুনাবলী থাকা দরকার তার সবগুলো রয়েছে বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তি চক্রবর্ত্তীর মধ্যে যা অন্যকোন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের আছে বলে মনে হয় না।
আলাপকালে এক প্রতিক্রিয়ায় মুক্তি চক্রবর্ত্তী বলেন, উপজেলার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার জন্য, উপজেলার মানুষের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন সহ চা জনগোষ্ঠী ও সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নে এবারের নির্বাচনে অতীতের মতো আমার প্রিয় রাজনগর উপজেলাবাসী আবারও কলস প্রতীকে সু-নিশ্চিত রায় দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করবে। আবারো নির্বাচিত হলে উপজেলার পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী, চা জনগোষ্ঠীসহ সর্বস্তরের মানুষের সার্বিক উন্নয়নে নিজেকে নিয়োজিত রাখবো।