দুর্বার সংবাদ ডেস্ক: মহান মে দিবস হচ্ছে মানুষ কর্তৃক মানুষকে শোষণের বিরুদ্ধে সংগ্রামের প্রতিক।

“মহান মে দিবস হচ্ছে মানুষ কর্তৃক মানুষকে শোষনের বিরুদ্ধে সংগ্রামের প্রতিক। শতাব্দীপূর্ব শ্রমিকের সেই আন্দোলন সাফল্য ছিনিয়ে এনেছিল; প্রতিষ্ঠিত হয় ৮ ঘণ্টা শ্রমের সময় সীমা। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি লাভ করে মহান মে দিবস। পৃথিবীতে যতদিন শ্রমজীবি মানুষের অস্তিত্ব থাকবে, শ্রেণী শোষন থাকবে ততদিন এই দিনটি মুক্তিকামী মানুষের সংগ্রামের প্রতিক হিসেবেই পালিত হবে।”

“নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র, সার্ভিস বুক, সাপ্তাহিক সবেতন ছুটি, সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত কর; আপদকালীন নগদ অর্থ ও খাদ্য সহায়তা দাও এবং সামাজিক বৈষম্যের অবসান চাই; ন্যুনতম বেতন কাঠামো ঘোষনা কর ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আইনগত ও সাংবিধানিক অধিকারের নিশ্চয়তা চাই।”– এই শ্লোগান ও দাবীকে সামনে রেখে মহান মে দিবসের ১৩৮তম বার্ষিকী ও শ্রমজীবি মানুষের আন্তর্জাতিক সংহতি দিবসে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল শ্রমজীবি ও মেহনতী মানুষকে সংগ্রামী অভিনন্দন জানিয়ে শ্রীমঙ্গল উপজেলা দোকান কর্মচারী কল্যাণ ইউনিয়ন কর্তৃক আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মৌলভীবাজার জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য, কমরেড সৈয়দ আমিরুজ্জামান এসব কথা বলেন।

বুধবার (১লা মে ২০২৪) সকাল ৯টায় শ্রীমঙ্গল উপজেলা দোকান কর্মচারী কল্যাণ ইউনিয়নের সভাপতি রনধীর চৌধুরী রঞ্জুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেইনের সঞ্চালনায় শহরের ভানুগাছ রোডস্থ সংগঠনের কার্যালয়ের সম্মুখে এবং প্রধান প্রধান সড়কে র‍্যালী শেষে চৌমুহনা চত্বরে আয়োজিত সমাবেশে তিনি বক্তব্য দেন।

র‍্যালীতে আরও অংশ নেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ভানু লাল রায় ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিতালী দত্ত, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও দৈনিক ডেসটিনি পত্রিকার প্রতিনিধি ডা: রাধাকান্ত দাশ, জাতীয় শ্রমিক লীগের মৌলভীবাজার জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন, নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার সভাপতি আমজাদ হোসেন রনি, গীতিকার ও সংবাদকর্মী পারভেজ হাসান প্রমুখ।

কমরেড সৈয়দ আমিরুজ্জামান র‌্যালীপুর্ব সমাবেশে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন আত্মত্যাগী মে’ আন্দোলনের সংগঠক, নেতা-কর্মী ও শ্রমিকদের।

সমাবেশে কমরেড সৈয়দ আমিরুজ্জামান বলেন, “আন্তর্জাতিক শ্রমিকশ্রেণীর আন্দোলন-সংগ্রামের ইতিহাসে ১ মে এক ঐতিহাসিক সংগ্রাম বিপ্লবী শপথে ঐক্যবদ্ধ ও প্রদীপ্ত হওয়ার দিন।
নতুন এক অভিজ্ঞতা ও বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা সহ উন্নয়ন সমৃদ্ধি অগ্রযাত্রার স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদি আর্থসামাজিক টেকসই কর্মসূচি প্রণয়ন ও দ্রুত বাস্তবায়নের রোডম্যাপসহ বৈষম্যহীন ব্যবস্থা প্রবর্তনের জন্য আন্দোলন-সংগ্রামের নতুন এক দায় নিয়ে উপস্থিত হচ্ছে এবারের মে দিবস। শ্রমিক শ্রেণি ও সকল স্তরের জনগণসহ রাষ্ট্র সরকার ও প্রশাসনের স্ব স্ব দায়িত্ব পালনে যথাযথ ভূমিকা পালন প্রত্যাশিত।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *