দুর্বার সংবাদ ডেস্কঃ মহাভারতসহ একাধিক হিন্দু ধর্মগ্রন্থে প্রাচীন শহর দ্বারকা’র উল্লেখ রয়েছে। হিন্দুদের একাংশের বিশ্বাস, দ্বারকার শাসক ছিলেন কৃষ্ণ। বহু শতাব্দী আগে, গুজরাট উপকূলের কাছে সাগরের নীচে ডুবে গিয়েছিল এই প্রাচীন শহর।

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দ্বারকায় যাওয়ার জন্য আরব সাগরে ডুব দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী। সঙ্গে নিয়ে যান একটি ময়ূরের পালক। ওই পালক দিয়েই প্রাচীন শহরে কৃষ্ণের পূজা করেন তিনি।

এদিন উপকূল থেকে ২ নটিক্যাল মাইল দূরে স্কুবা ডাইভের বিশেষ পোশাক পরে, জলের নীচে থাকা দ্বারকা শহরের উদ্দেশে ডুব দেন প্রধানমন্ত্রী। প্রাচীন এই শহরে গিয়ে কৃষ্ণকে ময়ূরের পালকের নৈবেদ্য দেন প্রধানমন্ত্রী।

সোশ্যাল মিডিয়ায় মোদী লেখেন, জলের নীচে নিমজ্জিত দ্বারকা শহরে প্রার্থনা করা একটি ঐশ্বরিক অভিজ্ঞতা। যেন এক আধ্যাত্মিক মহিমায় ভরপুর ও ভক্তিময় এক প্রাচীন যুগে ফিরে গিয়েছিলাম। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ আমাদের সবাইকে আশীর্বাদ করুন, এটাই কামনা করি।

তিনি আরও লেখেন, সমুদ্রের গভীরে আমি দেবত্বকে অনুভব করেছি। দ্বারকাধীশকে প্রণাম করেছেন। কৃষ্ণের পায়ে একটি ময়ূরের পালক রেখে এসেছি। সবসময়ই জলের নীচে ডুবে থাকা এই কিংবদন্তি শহরে যেতে চেয়েছি, দ্বারকার অবশিষ্টাংশকে দেখতে চেয়েছি। সেই আকাঙ্খা পূর্ণ হওয়ায় আজ আমি আবেগাপ্লুত।

তার আগে দ্বারকায় বেইত মন্দিরেও পুজো দেন নরেন্দ্র মোদী। বেইতের দ্বারকাধীশ মন্দিরে তাকে প্রার্থনা করতে দেখা যায়। মন্দির পরিদর্শনের সময় তার সঙ্গে ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল।

এদিন দ্বারকায় ভারতের দীর্ঘতম তারের সেতু, সুদর্শন সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। ওখার মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে বেইত দ্বীপকে সংযুক্ত করছে এই সেতু। এই সেতুর দৈর্ঘ প্রায় ২ দশমিক ৩২ কিলোমিটার।

রোববার গুজরাটে আরও বেশকিছু উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যে রয়েছে কচ্ছের বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প, মুন্দ্রা-পানিপত অপরিশোধিত তেল পাইপলাইন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, ভদোদরায় নতুন কার্ডিওলজি হাসপাতাল ও রাজকোট-সুরেন্দ্রনগর রেললাইন প্রসারণের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *