স্টাফ রিপোর্টার: পবিত্র ঈদ-উল আজহা রয়েছে আর মাত্র কয়েকদিন। মৌলভীবাজার জেলায় এবছর জমে উঠেছে কোরবানীর পশুর স্থায়ী হাটগুলো। তবে অস্থায়ী হাটগুলো এখনও জমে ওঠেনি। জেলার ৭ উপজেলায় স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে মোট ৫৭টি পশুর হাট বসেছে। ঝামেলা এড়াতে অনেকেই অপেক্ষা করছেন ঈদের দু’একদিন পূর্বে হাট থেকে পশু কিনবেন

ঈদ-উল আজহাকে সামনে রেখে মৌলভীবাজার জেলায় ক্রেতা ও বিক্রেতার উপস্থিতিতে জমে উঠেছে পশুর স্থায়ী হাটগুলো। তবে অস্থায়ী কোরবানীর হাটগুলো এখনও জমে ওঠেনি। সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী দীঘিরপাড় বাজার স্থায়ীহাটে ক্রেতা বিক্রেতাদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। মৌলভীবাজার পৌর এলাকার অস্থায়ী হাট সহ অধিকাংশ অস্থায়ী হাট অনেকটা ফাঁকা দেখা যায়। জেলার ৭ উপজেলায় স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে মোট ৫৭ টি পশুর হাট বসেছে। এর মধ্যে স্থায়ী হাট রয়েছে ২২টি। ইতোমধ্যে স্থায়ী হাটগুলোতে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে স্থানীয় খামারী ও পাইকাররা বিক্রির উদ্দেশে তাদের লালন পালন করা পশু নিয়ে আসছেন। সেই সঙ্গে আগে ভাগেই পছন্দের পশু কিনতে হাটে ভীড় করছেন ক্রেতারা। হাটে আসা ক্রেতারা চাহিদা ও পছন্দ অনুযায়ী দরদামও তারা করছেন।

কোরবানীর হাটে আসা ক্রেতা বলছেন বিগত সময়ের চেয়ে এই বছর কোরবানীর পশুর দাম অনেকটা বেশি। তবে ক্ষুদ্র খামারী ও পাইকারা বলছেন গোখাদ্যের দাম প্রতি বছরের এবারও বাড়ায় পশুপালনে তাদের খরচ আগের চেয়ে বেড়েছে। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: মো: আশরাফুল আলম খান জানান, বাজারে সুস্থ পশু বিক্রির জন্য প্রাণি সম্পদ বিভাগ প্রচাণার পাশাপাশি জেলায় ২২টি মেডিক্যাল টিম গঠন করেছে। আসছে ঈদ-উল আজহায় জেলায় কোরবানির পশুর মোট চাহিদা রয়েছে ৭৯ হাজার ৯শত ২৯টি। স্থানীয় খামারিদের কাছে মজুত রয়েছে ৮০ হাজার ৬’শত ৩৭টি কোরবানির পশু। উদ্বৃত্ত রয়েছে ৭শত ৮টি গবাদি পশু। পাশাপাশি স্থানীয় খামারিরা যাতে ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সে লক্ষে চোরাই পথে পার্শবর্তী দেশ থেকে পশু যাতে প্রবেশ করতে না পারে সীমান্তে নজরদারী বাড়ানো হয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

স্থানীয় খামারিরা মনে করেন, সরকারিভাবে পৃষ্ঠপোষকতা পেলে আরও বড় পরিসরে খামার গড়ে উঠবে। স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বেকারত্ব দূরীকরনে কার্যকর ভূমিকা রাখবে খামার গুলো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *