স্টাফ রিপোর্টার: ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়ম-দুর্নীতি করে মৌলভীবাজারে চা-বাগান দখল করে কোটি কোটি টাকার সম্পদ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে সাবেক কৃষিমন্ত্রী ও জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ, মৌলভীবাজার-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুস শহীদের বিরুদ্ধে। নিজ সংসদীয় এলাকায় গড়ে তুলেছেন দুর্নীতি ও লুটপাটের বাহিনীও। তবে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা বলছেন, আইনি সহায়তার মাধ্যমে তার দখল করা সম্পদ উদ্ধারের কাজ চলছে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চা-বাগান প্রতিষ্ঠার নামে বন বিভাগের জমি দখল, বাগান বাড়ি নির্মাণ, হাইল-হাওরে মৎস্য খামার তৈরিসহ নানাভাবে সম্পদের পাহাড় গড়েন তিনি। ৪ একর জমির মালিকানা নিয়ে ২০১৮ সালে কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের পাশে ‘সাবারী টি প্ল্যান্টেশন’ নামে চা-বাগান গড়ে তোলেন। লাউয়াছড়া উদ্যানের ৫ একর পাহাড়ি জমি জোরপূর্বক জবর দখল করে নেন।সরকারি খরচে পুরো চা-বাগানজুড়ে পল্লী বিদ্যুতের লাইন টেনে বিদ্যুৎ সংযোগ ও পানি সেচের জন্য স্থাপন করেন ১৫-১৬টি ডিপ টিউবওয়েল। স্থানীয়দের অভিযোগ, ডিপ টিউবওয়েল স্থাপনে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় সাধারণ মানুষজন চাপকলে পানি পাচ্ছেন না।

এছাড়া, কমলগঞ্জের কাঠালকান্দিতে ৮ একর পাহাড়ি এলাকা নিয়ে নির্মাণ করা হয় বাগান বাড়ি। সরকারি খরচে একাধিক ডিপ টিউওয়েল স্থাপন এবং বিদ্যুতের জন্য ৮টি সৌর প্ল্যান্ট নির্মাণ করেন আব্দুস শহীদ। এছাড়াও শ্রীমঙ্গল বাইক্কাবিল হাইল-হাওর ও বাইক্কা বিলের পাশে প্রায় ১১ একর জমি নিয়ে গড়ে তোলেন বিশাল মৎস্য খামার। খামারের উল্টো দিকে সরকারি জমি বাইক্কা বিলের কান্দি থেকে কয়েকটি এক্সেভেটর মেশিন দিয়ে মাটি কেটে নিয়ে আসেন নিজ খামারে। ওই সময় কৃষি মন্ত্রীর ধাপটে বাইক্কা বিল সম্পদ ব্যাবস্থাপনা কমিটির কেউ সাহস করে প্রতিবাদ করতে পারেননি। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) মৌলভীবাজার শাখার সাধারণ সম্পাদক জহর লাল দত্ত সাবেক এ কৃষিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে তার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘শুধু এ সাবেক মন্ত্রী না। পুরো দেশে গেলো ১৬ বছরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অবাধে লুটপাট করেছে। নজিরবিহীন এ লুটপাটের বিচার করা এবং দেশের বাইরে পাচার হওয়া টাকা ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিতে হবে।’ কমলগঞ্জ এলাকায় গেলে কথা হয় চা-বাগানের পাশে বসবাসকারী লোকজনের সঙ্গে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, চা-বাগানের আগে এখানে পাহাড়জুড়ে আনারস বাগান ছিল। আনারস বাগান কেটে পাহাড়ে তৈরি করা হয় চা-বাগান। এদিকে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ৫ একর জমি সাবেক কৃষিমন্ত্রী প্রভাব খাটিয়ে নিয়ন্ত্রণে নেন। পরে গত ১৫ সেপ্টেম্বর এ জমি উদ্ধার করে বনবিভাগ।

মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক জামিল মোহাম্মদ খান বলেন, ‘আগে চেষ্টা চালিয়ে জমি উদ্ধার করা না গেলেও, এবার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ৫ একর জমি জবরদখল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের এ জমিতে বন্যপ্রাণীর ফলমূল খাবার উপযোগী চারা গাছ লাগানো হয়েছে।’ অপরদিকে মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) এবিএম মিজানুর রহমান বিদ্যুৎ সংযোগের বিষয়ে জানান, সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদের নামে এক কিলোওয়াট বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার কথা।

জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী খালেদুজ্জামান বলেন, ‘বাগান বাড়ি এবং চা-বাগানে ডিপটিউবওয়েল স্থাপনের বিষয়টি তার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ এদিকে এলাকায় কথা রয়েছে, সরকার পতনের দুদিন আগে সাবেক এ কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ কানাডায় পাড়ি জমিয়েছেন। তবে ক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা ওইদিন মন্ত্রীর গড়ে তোলা রিসোর্ট, বৈদ্যুতিক লাইন, একাধিক ডিপ টিউবওয়েল, শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ এলাকায় বাসা-বাড়িসহ বেশকিছু সম্পদ ভাঙচুর ও লুটপাট করে নিয়ে যায়।

কৃষিমন্ত্রীর নামেবেনামে ফ্ল্যাট  লেবুআনারস বাগানের সন্ধান :

মেয়ের নামে কমলগঞ্জ মাঝেরছড়া এলাকায় কয়েকশ একর টিলা ভূমি জমি কিনেছেন, চা  বাগানে সরকারী টাকায় নির্মাণ। রাজধানীর উত্তরা ১০ নং সেক্টর, ২ নং রোড ৩৫ নং বাসা, ঢাকা সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের জগদীশ পুর পেট্রোল পাম্প রয়েছে, ঢাকা ফার্ম গেইট এলাকায় ঘরসহ জমি কিনে দোকান কোঠা ভাড়া হিসেবে দেয়া আছে। শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়ন দিলবর নগর এলাকায় ৬ একর নিজস্ব জমিতে লেবু বাগানে বেশ কয়েকটি ডিপ টিউবওয়েল, সরকারী খরচে এলজিইডি থেকে ব্রিজ, গাইড ওয়াল আর সিসি ঢালাই রাস্তা নিমার্ণ। শ্রীমঙ্গল পৌর শহরের কলেজ রোডস্থ পাঁচতলা ভবনের বারান্দায় সরকারী ডিপ টিউবওয়েল নুলককুপ বসিয়েছন। মৌলভীবাজার রোড, হাউজিং এস্টেট এলাকায় জমিতে সরকারী ডিপ টিউবওয়েল।  কমলগঞ্জ উপজেলা  ২ কোটি টাকা  ব্যয় নতুন তিন তলা বাসা, সরকারী খরচে ডিপ টিউবওয়েল এবং সোলার লাইট স্থাপন। নিজ গ্রামের বাড়ীর ভেতরে রাস্তায় সরকারি খরচে ৩০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সোলার লাইট স্থাপন ও পুকুর খনন। বড় মেয়ে উম্মে ফারজানা ডায়না স্বামী সংসদ সদস্যের স্টিকার লাগানো  গাড়ী ব্যবহার। সাবেক কৃষি মন্ত্রী প্রথকে নিজে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম লিখান। পরে তার ভাই মানিককে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট প্রদানের সকল ব্যবস্থা করে দেন তিনি।

সাবেক কৃষিমন্ত্রীর এলাকায় বিএনপির আনন্দ মিছিল  মিষ্টি বিতরণ : 

উল্লেখ্য সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদের গ্রেফতার হওয়ার খবরে শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ হয়েছে। গত মঙ্গলবার ২৯ অক্টোবর রাত সাড়ে ১১টায় উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরে তার নিজ বাড়ি থেকে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। উত্তরা পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে উত্তরায় ছাত্র-জনতা হত্যার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় তিনটি হত্যা মামলা রয়েছে। ওই মামলায় তাকে তার নিজ বাসভবন থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ এদিকে আব্দুষ শহীদ গ্রেফতার হওয়ার খবরে দুই উপজেলার বিএনপি ছাড়া বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরাও আনন্দ মিছিল করে নিজেদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করেছে।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা বিএনপির সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে আনন্দ মিছিল শহরের বিভিন্ন সড়ক পদক্ষিণ শেষে হবিগঞ্জ রোড় শাহী ঈদ গাহে সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মাধ্যমে শেষ হয়। শ্রীমঙ্গল উপজেলা বিএনপির সভাপতি  নূরে আলম সিদ্দিকী ও  সিনিয়র সহসভাপতি জয়নাল চৌধুরী বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর বিএনপির নির্বাহী কমিটি সদস্য হাজী মুজিবুর রহমান চৌধুরীকে ১৩৪টি মামলা দিয়ে সাবেক কৃষি মন্ত্রী হয়রানী ও নির্যাতন করেছেন। তিনি বিগত ১৬ বছর এলাকায় মিটিং মিছিল করতে পারেননি। ইফতার মাহফিলে গিয়ে তার বাহিনীরা হামলা ভাঙচুর করেছে। তার গ্রেফতারের বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে দলের নেতাকর্মীরা আনন্দ আত্নহারা হয়ে উঠে।

আবদুস শহীদ ১৯৪৮ সালের ১ জানুয়ারি মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের রহিমপুর ইউনিয়নের সিদ্বেশ্বরপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৩ সালে জেলার কমলগঞ্জ গণ মহা বিদ্যালয়ে যোগদান করে শিক্ষকতা পেশা শুরু করেন। তিনি বঙ্গবন্ধু শিশু একাডেমি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি। আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডয়িাম সদস্য। তিনি প্যানেল স্পিকার হিসেবে ও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ১৯৯১ সালের পঞ্চম, ১৯৯৬ সালের সপ্তম, ২০০১ সালের অষ্টম, ২০০৮ সালের নবম, ২০১৪ সালের দশম, ২০১৮ সালের একাদশ ও ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মৌলভীবাজার-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তিনি জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ, ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সংসদে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ এবং ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত জাতীয় সংসদে হুইপ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

সাবেক কৃষি মন্ত্রীর বাড়িতেসরকারি জালালাবাদ কোম্পানী গ্যাস লাইন :

২০১২ সালে বিধি লঙ্ঘন করে আট কিলোমিটার দীর্ঘ একটি গ্যাস পাইপলাইন স্থাপনের ব্যয় বহন করছে জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি। কারণ, ওই পাইপলাইন দিয়ে গ্যাস  জাতীয় সংসদের সরকারি দলের চিফ হুইপ থাকালীন সময়ে আব্দুস শহীদের গ্রামের বাড়িতে স্থাপন হয়।

কোম্পানির বিধি অনুযায়ী, জালালাবাদের গ্যাস-সংযোগ পেতে নতুন পাইপলাইন বসানোর দরকার হলে তার সম্পূর্ণ ব্যয়ভার বহন করতে হয় সংশ্লিষ্ট গ্রাহককে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সেই বিধি লঙ্ঘন করেছে কোম্পানিটি। চিফ হুইপের একটি অনানুষ্ঠানিক চাহিদাপত্রে (ডিও লেটার) করা আবদার মেটাতে গিয়ে কোম্পানিকে ওই বিধি লঙ্ঘন ও প্রায় এক কোটি ১৫ লাখ টাকার আর্থিক দায় মেনে নিতে হয়। চিফ হুইপের গ্রামের বাড়ি মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মুন্সিবাজার গ্রামে। জালালাবাদ গ্যাস কোম্পানির বিদ্যমান লাইন থেকে ওই গ্রাম পর্যন্ত আট কিলোমিটার নতুন পাইপলাইন স্থাপনে এক কোটি ১৫ লাখ টাকা ব্যয় করতে হবে। পাইপলাইনটি কমলগঞ্জের দেবীপুর, সিদ্ধেশ্বরপুর, রহিমপুর হয়ে মুন্সিবাজারে চিফ হুইপের বাড়িতে গিয়ে শেষ হয়। কোম্পানির করা মাঠ নকশা (লে-আউট ড্রয়িং) অনুযায়ী, কমলগঞ্জের আদমপুরে জালালাবাদ গ্যাসের সাবস্টেশন থেকে মুন্সিবাজার গ্রাম পর্যন্ত পাইপলাইন বসিয়ে গ্যাস সংযোগ নেয়া হয়। তৎকালীন সময়ে সরেজমিনে গিয়ে ওই সব এলাকার প্রায় তিন কিলোমিটারে খুব বেশি জনবসতি চোখে পড়েনি।

যেসব স্থানে জনবসতি আছে, সেখানে গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই গ্যাসলাইন সম্পর্কে অনেকে একেবারেই কিছু জানা ছিল না। যাঁরা জানেন, তাঁরাও চিফ হুইপের বাড়িতে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার জন্যই লাইনটি স্থাপন বসানো হয়। তবে চিফ হুইপের দেওয়া চাহিদাপত্রে ওই এলাকার মানুষের জন্য গ্যাস-সংযোগ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সমস্যা হয়েছে দুটি। প্রথমত, পাইপলাইনটি শেষ হবে চিফ হুইপের বাড়ি পর্যন্ত গিয়ে। দ্বিতীয়ত, আট কিলোমিটার পথে গ্যাসের এত গ্রাহক নেই, যাতে কোনো একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সেখানে টাকা খরচ করে তা তুলে আনতে পারবে।

কোম্পানি সূত্র জানায়, তৎকালীন সময়ে চিফ হুইপের চাহিদাপত্র পাওয়ার পর কোম্পানির পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সরেজমিনে পাইপলাইনটির সম্ভাব্যতা যাচাই করে। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, আট কিলোমিটার দীর্ঘ ওই পাইপলাইন স্থাপন করা হলে ৫০-৬০ জন আবাসিক গ্রাহক, ৪/৫জন বাণিজ্যিক গ্রাহক এবং ২/১টি কুটিরশিল্প গ্যাস-সংযোগের আওতায় আসতে পারে। ফলে পাইপলাইনটির মাধ্যমে গ্যাস-সংযোগের আওতা বাড়ানো লাভজনক হবে না। তাই এ ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ব্যয়ভার গ্রাহকের বহন করার বিধি পরিপূর্ণভাবে অনুসরণ করা উচিত। কিন্তু ওই প্রতিবেদন উপেক্ষা করে আড়াই মাসের মাথায় আরেকটি কমিটিকে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এই কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, পাইপলাইনটি স্থাপিত হলে প্রায় ২০০ আবাসিক ও ২০ জন বাণিজ্যিক গ্রাহক সংযোগের আওতায় আসবেন। অদূর ভবিষ্যতে গ্রাহকসংখ্যা আরও বাড়বে। তৎকালীন ২০১২সালের ৮ মার্চ অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের ৩০৯তম সভায় প্রতিবেদনটি গ্রহণ করা হয় এবং প্রতিবছর গ্রাহকসংখ্যা পাঁচ শতাংশ বাড়বে ধরে নিয়ে আর্থিক বিশ্লেষণী প্রতিবেদন তৈরির অনুমোদন দেওয়া হয়।

তৎকালীন সময়ে বিষয়টি সম্পর্কে জানার জন্য চিফ হুইপ আব্দুস শহীদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তিনি এড়িয়ে গেছেন। তবে তাঁর ছোট ভাই কমলগঞ্জের বিআরডিবির চেয়ারম্যান ইমতিয়াজ আহমদ বলেছেন,‘ এলাকায় গ্যাস দিয়ে নিজের বাড়িতে গেলে অসুবিধার তো কিছু নেই। কোম্পানির সূত্রগুলো জানায়, এ ধরনের রাজনৈতিক প্রকল্পের কারণেই কোম্পানিগুলো আর্থিক দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *