সংঘাত নয়, শান্তি ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ি এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে মৌলভীবাজারে আন্তঃ ধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৬ অক্টোবর, রবিবার সকাল ১১টায় মৌলভীবাজার সদর উপজেলার হলরুমে পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপ (পিএফজি) এর উদ্যোগে এই আন্তঃ ধর্মীয় সংলাপ বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপ (পিএফজি) মৌলভীবাজার এর সভাপতি খালেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং পিএফজি এর সদস্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রিংকু চক্রবর্ত্তীর এর সঞ্চালনায় উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার সদর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাসরীন চৌধুরী। সমবেত জাতীয় সংগীতের মধ্যদিয়ে উক্ত আলোচনা সভা শুরু হয়। উক্ত আলোচনা সভায় পবিত্র কোরান তেলোয়াত করেন উপজেলা জামে মসজিদের ইমাম শেখ মো: শাহ আলম, পবিত্র গীতা পাঠ করেন প্রেমনগর চা বাগানের পুরোহিত কমলাশিষ চক্রবর্তী , পবিত্র বাইবেল পাঠ করেন মৌলভী পান পুঞ্জির মন্ত্রী ক্ষিতিশ আরেং। উক্ত আন্তঃ ধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপ (পিএফজি) এর সিলেট বিভাগীয় সম্মন্বয়কারী আকলিমা চৌধুরী, শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপ (পিএফজি) এর মনিটরিং অফিসার সাইদুল ইসলাম। উক্ত আলোচনা সভায় সম্প্রীতির অভিযাত্রা বিষয়ক প্রবন্ধ পাঠ করেন পিএফজি মৌলভীবাজারের সদস্য ও সাস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব তাপস কুমার ঘোষ ।

উক্ত আন্তঃ ধর্মীয় সংলাপ বিষয়ক আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যথেকে বক্তব্য রাখেন ৭নং চাঁদনীঘাট ইউনিয়ন পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক তাপস দে, মৌলভীবাজার সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব শ্যামল কান্তি দাশ, উপজেলা জামে মসজিদের ইমাম শেখ মো: শাহ আলম, বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোট মৌলভীবাজার জেলা সভাপতি জ্যের্তিময় চক্রবর্ত্তী, পিএফজি এর সদস্য ও নাট্য ব্যক্তিত্ব রুহুল আহমদ, পিএফজি এর সদস্য ও শেখ বোরহান উদ্দিন ইসলামী সোসাইটির সভাপতি মুহিবুর রহমান, পিএফজি এর এ্যাম্বেসেডর ও মৌলভীবাজার জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক শেখ মাহমুদুর রহমান প্রমুখ।

উক্ত আন্তঃ ধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠানে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ সহ পূজা উদযাপন পরিষদের সাথে জড়িত নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন মসজিদের ইমামগন বিভিন্ন মন্দিরের পুরোহিত ও সেবায়িতগন এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, ইসলামী ফাউন্ডেশন এর প্রতিনিধি এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রতিনিধিগন উপস্থিত ছিলেন।

উক্ত আলোচনা সভায় বক্তারা একটি বিষয়ে সহমত পোষণ করেন যে , সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এই বাংলাদেশে কিছু দুর্বৃত্তরা সবসময় সম্প্রদায়িক সংঘাত ঘটাতে ব্যস্ত থাকে , বিশেষ করে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সময় এই ব্যস্ততা তাদের বেড়ে যায়। এই দুর্বৃত্তদের মূল উৎপাটন করতে পারলে আমাদের বাংলাদেশ হবে শান্তি এবং সম্প্রীতির বাংলাদেশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *