ছবি সংগৃহিত

স্টাফ রিপোর্টার: সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো শাহবাগ, বাংলামোটর, কারওয়ানবাজার, ফার্মগেট, সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড় ও গুলিস্তান জিরো পয়েন্টসহ ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় সড়ক অবরোধ করেছেন কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরা। এতে অবরোধের এলাকাগুলোতে যান চলাচল বন্ধ  হয়ে গেছে। প্রধান প্রধান সড়ক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রাজধানীর বেশির ভাগ এলাকা দ্বিতীয় দিনের মতো স্থবির হয়ে পড়েছে।

আজ সোমবার টানা দ্বিতীয় দিনের মতো ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করছেন আন্দোলনকারীরা। ছবি সংগৃহিত

পূর্বঘোষিত ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার (৮ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে অবরোধ করেন শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা। ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে’র ব্যানারে গত ১ জুলাই থেকে তারা আন্দোলন চালিয়ে আসছেন। এর অংশ হিসেবে গতকাল রোববার (৭ জুলাই) থেকে শাহবাগসহ ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় সড়ক অবরোধ চলছে। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, বাংলা ব্লকেড কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে পুলিশ অনেক জায়গাায় তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। তারা বলছেন, পুলিশ প্রথমে তাদের বসতে দিতে চায়নি। বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য একসঙ্গে আন্দোলনকারীদের বাধা দিয়েছেন। এরপরও শিক্ষার্থীরা অবরোধ কর্মসূচি পালন করে চলেছেন।

ছবি সংগৃহিত

এরই মধ্যে রাজধানীর ব্যস্ত পয়েন্টগুলোতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেওয়ায় সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। অফিস ফেরত মানুষগুলো পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। কার্যত ঢাকার বড় একটি অংশ স্থবির হয়ে পড়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করে আন্দোলন যেন না হয় সেজন্য শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু তাদের অনুরোধ শোনেননি শিক্ষার্থীরা। বরং কিছু শিক্ষার্থী পুলিশের ওপর চড়াও হয়েছেন, তাদের গালিগালাজ করেছেন। তবে পুলিশ সদস্যরা শান্ত রয়েছেন। এদিকে রাজধানীতে যেন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি না হয় সেজন্য গতকালের চেয়ে আজ বেশি পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। আন্দোলনকারীদের সড়ক ছেড়ে দিয়ে আন্দোলন করার জন্য বারবার অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু তারা সড়কের ব্যস্ত পয়েন্টগুলোতে অবস্থান নিয়েছে। এতে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। অফিস ছুটি হয়েছে, তাই সব সড়কে যানজট ছড়িয়ে পড়েছে। বর্তমানে বিকল্প সড়ক দিযে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *